বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৫:২৪ PM , আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫, ১০:২১ AM
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু সিদ্দিক ঢালী (৫৫) নামে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনি এলাকার এ হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবু সিদ্দিক ঢালী এবং তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার ভাই জুলহাস ঢালী ভোজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। আবু সিদ্দিকের সঙ্গে একই এলাকার মিন্টু ছৈয়াল ও তার অনুসারীদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। মিন্টু ছৈয়াল সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও তার ভাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইসমাইল হকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে মিন্টু ছৈয়াল ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবু সিদ্দিকের ওপর হামলা চালায়। তিনি প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিলেও তাতে রেহাই মেলেনি। পাড়ে উঠলে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই ও ভোজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জুলহাস ঢালী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই চান্দনী নদীরপাড় থেকে বাসায় ফিরছিল। একপর্যায়ে মিন্টু ছৈয়ালের বাড়ির সামনে আসলে তার লোকজন আমার ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তিনি আজ মারা যায়। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের আমরা ফাঁসি চাই।
নিহতের মা আমিরন বিবি বলেন, আমার ছেলেদের মধ্যে আবু সিদ্দিক সহজসরল প্রকৃতির ছিল। যারা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের কঠিন বিচার চাই। যাতে আমার মতো আর কারো মায়ের বুক খালি না হয়।
নড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শরিফ ওয়াহিদুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, হামলাকারীদের নেতৃত্বদানকারী মিন্টু ছৈয়াল একসময় আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও তার ভাই ইসমাইল হকের পালিত ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির একটি গ্রুপের ছত্রছায়ায় আধিপত্য বিস্তার ধরে রাখেন। তারাই এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অপরাধী যেই দলের হোক না কেন তাদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।