বরখাস্ত সেনাসদস্যদের বিক্ষোভে উত্তেজনা, নিজ অবস্থান জানাল সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী  © সংগৃহীত

চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভে অংশ নেন বরখাস্ত ও অব্যাহতি পাওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সাবেক সদস্য। তবে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি দিন শেষে রূপ নেয় উত্তেজনায়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাবেক সদস্যদের বক্তব্য শোনেন এবং দাবি-দাওয়ার বিষয়টি বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসারে যাচাই ও নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানান হয়, অভিযোগসমূহ সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেই পেশ করা উচিত, কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ব্যবহার করে নয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়, ইতোমধ্যে মোট ৮০২টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি আবেদনগুলোও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সমাধানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

তবে দিন শেষে একদল অংশগ্রহণকারী পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তোলে। সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাব ত্যাগ করার সময় কিছু বরখাস্ত সেনাসদস্য তাদের গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য স্লোগান দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, তারা পুরো সময়টা ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করে কিছু বিশৃঙ্খল বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, "যেকোনো উসকানিমূলক ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড এই বাহিনীর সুশৃঙ্খল ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। আমরা সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল পক্ষের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি।"


সর্বশেষ সংবাদ