ঈদের দিন বেড়াতে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ধর্ষণের শিকার ৯ বছরের শিশু
ধর্ষণের শিকার ৯ বছরের শিশু  © প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঈদের দিন বেড়াতে নিয়ে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. দুলাল মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার নামা মহিষতারা গ্রামের মন্নেছ আলীর ছেলে। দুলাল মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা মজিদ মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনতা তাঁদের দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার ঈদের দিন নিজের মেয়ের মাধ্যমে শিশুটিকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নেওয়ার জন্য ডেকে নেন দুলাল মিয়া। উপজেলার বটতলা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন দুলাল। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে ভ্যানগাড়িতে করে অসুস্থ শিশুকে বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি। শিশুটি তার পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে পরিবারের লোকজন দুলাল মিয়ার বাড়িতে যান। তাঁকে আটক করতে গেলে মজিদ মিয়া দুলালকে পালাতে সহযোগিতা করেন।

এ নিয়ে দুপুরে উত্তেজনা শুরু হলে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন দাবি জানালে পুলিশ দুলালকে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগে মজিদ মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত জনতা দুলালের দোকান ও মজিদের বাড়ি ভাঙচুর করেন এবং মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করেন।

এ ঘটনায় আজ রাতে শিশুটির বড় ভাই দুলাল মিয়া ও মজিদ মিয়াসহ ছয়জনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা শুরু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। মূল অভিযুক্ত পালিয়ে গেছেন, এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ