লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪

সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন চার সাংবাদিক
সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন চার সাংবাদিক  © টিডিসি ফটো

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন চার সাংবাদিক। এদের মধ্যে দুই সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যার একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কমলা শীষ রায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আহত সাংবাদিকরা হলেন—লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও দৈনিক খবরের কাগজের প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ এবং দৈনিক আমার বার্তার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আব্দুল মালেক নীরব।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দত্তপাড়া ইউনিয়নের এক কুয়েত প্রবাসী তার বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলা ও লুটপাটের খবর দিয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে ফোন করেন। খবর পেয়ে রফিকুল ইসলাম তিন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেন। তারা দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে মুখোশপরা সাত-আটজনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাদের গতিরোধ করে।

এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন, ফয়সাল মাহমুদের পায়ে ছররা গুলি লাগে। এছাড়া আলাউদ্দিন ও নীরবও আহত হন।
খবর পেয়ে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে পাঠান।

আহত সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম পাবেল, সিনিয়র সাংবাদিক মীর ফরহাদ সুমন, সাইফুল ইসলাম স্বপন, কাজল কায়েস, রাকিব হোসাইন রনি, সাবেক সভাপতি মো. আলী হোসনে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম, কামালুর রহিম সমর, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুন নুর, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল মাহমুদ মিলনসহ জেলার শীর্ষ সাংবাদিকরা।

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম পাবেল বলেন, “আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের সুপার মো. আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছি। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

এদিকে, লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কমলা শীষ রায় জানান, একজনের অবস্থা গুরুতর। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।


সর্বশেষ সংবাদ