নেত্রকোনায় অটোরিকশা চালক হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩২ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩২ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় অটোচালক গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত থাকার অপরাধে জিয়া রহমান (৪২) ও বকুল মিয়া নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল আহমেদ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে জিয়া রহমানকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ ইটনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ভোর রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাও এলাকা থেকে বকুল মিয়া (৪২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জিয়া রহমান (৪২) কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রায়টুটি ইউপির কাংলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। অন্যদিকে বকুল মিয়া (৪২) নান্দাইল উপজেলার আচারগাও ইউপির ঝাউগড়া গ্রামের কালা মিয়া ছেলে। আদালতে তিনি হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অটোচালক গোলাম রব্বানী (৪৮) কে রায়বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে রিজার্ভ ভাড়া করে ফেনারগাতি নিয়ে যায় যাত্রী বেশি দুবৃত্তের একটি দল। ফেনারগাতি মোড় ঘুরে ফের রায়বাজার ফেরার পথে বড় কালিনয়ান এলাকায় পৌঁছে তার ওপর হামলা চালায় দলটি। এক পর্যায়ে তার গলার নিচে শ্বাস নালিতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এঘটনায় নিহতের গোলাম রব্বানী ভাগনে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার বকুল মিয়া আদালতে সোপর্দ করা হলে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। বকুলের দেওয়া তথ্যমতে জিয়াকে অটোরিকশাসহ ইটনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়াছি আদালতে। তার কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপার কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সাহায্যে প্রথমে বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে অটোরিকশাসহ জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলেই ধরা পড়বে এবং মূল রহস্য উদঘাটন হবে।