ছাত্রীর নিকাব টেনে খুলে নেওয়াসহ যৌন হেনস্তার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

অভিযোগ
অভিযোগ  © টিডিসি

শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তা ও তাদের নিকাব টেনে খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের পটিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে। এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটান তিনি।

এ নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগে বলা হয়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে যৌন হেনস্তা করতেন। ছাত্রীদের গাঁ ঘেঁষে বসা, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা এবং নিকাব ধরে টান দেওয়া ছিল তার নিয়মিত কাজ। এ ছাড়া নারীদের পর্দা নিয়ে কটূক্তি, ছাত্রীদের ক্লাসে মাস্ক ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাসহ তিনি বিভিন্ন অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন তিনি।

গত কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পটিয়া সরকারি কলেজের গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ পটিয়াবাসীর দাবি তোলেন, অতি দ্রুত তাকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বরখাস্ত করতে হবে। এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী অভিযোগে বলেন, কলেজে আসতে আমার লেট হওয়ায় তিনি আমাকে বলেন ‘এতক্ষণ পরে কোন ছেলের সাথে আসছ?’ এটা বলে তিনি নিজ হাতে আমার নিকাব টান দিয়ে খুলে ফেলেন। তার এই কর্মকাণ্ডের কারণে আমি দীর্ঘদিন ট্রমাটাইজড ছিলাম।

আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি এ বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। আমি এসব ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চাই না। অনেক অসুস্থ আমি। আপাতত কলেজ যাচ্ছি না।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, এ নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করলে আমি হাইকোর্টের নির্দেশনামতে ডিজি স্যারের অনুমতিতে তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় দিই। অভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজে না আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় মানববন্ধন ও অভিযোগ দাখিল করলে তদন্ত কমিটি আমার কাছে আরও সাত কর্মদিবস সময় চায়। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ