ছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখা সেই কনস্টেবল গ্রেফতার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০০ PM
সংবাদ প্রকাশের পর ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে ২ মাস হোটেলে আটকে রাখা সেই কনস্টেবল আল আমিন (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় ঠাকুরগাঁও শহর থেকে তাকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায় ঠাকুরগাঁও থানা।
গ্রেপ্তার হওয়া কনস্টেবল আল আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানে ছেলে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখেন কনস্টেবল আল আমিন ও তার বন্ধু রবিউল। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে শহরের হাজিপাড়া একটি মেস থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অপর আসামি রবিউলকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, আল আমিন আমাকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে ৫ দিন রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কক্সবাজার থেকে এসেই জানতে পারি সে বিবাহিত। আমি নিশ্চিত হই সে প্রতারক। আমি আমার বাসায় ফিরে যেতে চাই।
বারবার তাকে অনুরোধ করি। কিন্তু আল আমিন ও রবিউল আমাকে আটকে রাখে। ২ মাস পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন করেছেন তারা।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে একদিন আমার বাসায় গচ্ছিত থাকা ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে যায়। তারা আমার মেয়েকে কখনও রবিউলের বোনের বাসায়, কখনও মহিলা মেসে, কখনও বা কক্সবাজার নিয়ে গেছে। প্রায় তিনমাস পর একটি মহিলা মেস থেকে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে একটি মহিলা মেস থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই কনস্টেবল আল আমিনকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয় পুলিশ। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।