২৮৩ মোবাইল ছিনতাই, রিমান্ডে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক

সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক  © সংগৃহীত

র‍্যাব পরিচয় দিয়ে ২৮৩টি মুঠোফোন ছিনতাইয়ের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান ওরফে সাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে সোনারগাঁ পৌর এলাকার রয়্যাল রির্সোটের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে তাদের নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এবং সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার কোতয়ালী এলাকার ব্যবসায়ী সুমন মিয়া ২৮৩টি মোবাইল ফোন নিয়ে গাড়ি করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় র‍্যাব পরিচয় দিয়ে ৪-৫ জন তার গতিরোধ করেন। সুমন মিয়াকে মারধর করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এসব ফোনের বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে সুমন মিয়া সোনারগাঁ থানায় ছাত্রলীগ নেতা রবিন ও সাজুসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

রবিন পৌরসভার খাসনগর দিঘির পাড় গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে ও সাজু গোয়ালদী গ্রামের নাসিরউদ্দিন খাঁনের ছেলে।

সোনারগাঁ পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি রবিনকে এর আগেও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িতের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২১ সালের ১১ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সভায় তাকে পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। তবে অব্যাহতি পত্রে রবিনের স্থলে কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় তিনি নিজেই ওই পদ আকড়ে ছিলেন। সম্প্রতি দলীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ব্যানার ফেস্টুনে রবিন নিজেকে সভাপতি বলে প্রচার করেছেন।

সোনারগাঁ থানা সূত্র বলছে, রবিনের বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও হামলা ভাঙচুরের অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সাজুর বিরুদ্ধে আছে বিভিন্ন অপরাধের ৮টি মামলা।

সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে মাহবুবুর রহমান ও শাহরিয়ার নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মুঠোফোনগুলো উদ্ধার না হওয়ায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ