নামজারিতে ‘ঘুষ নির্ধারণ’ করে দেওয়া এসিল্যান্ডকে বরখাস্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৪ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৪ PM
‘ঘুষ নির্ধারণ’ করে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঘুষ নির্ধারণের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্ত থাকা সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমানের এই আচরণকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: জাল সনদে ৯ বছর চাকরি করছেন প্রধান শিক্ষক
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাজিপুরের এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের নামজারিতে ঘুষের টাকা নেয়ার নির্দেশনামূলক বক্তব্য ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে মো. মাসুদুর রহমানকে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা যে পার কেসে ডিলিংস করেন তা এনশিওর করার কোনো ওয়ে আছে?’ খোলামেলা কথা বলার জন্য এসিল্যান্ড তহসিলদারদের বলেন, ‘আপনাদের মতামত শুনি যে আপনারা কি চাচ্ছেন? এ বিষয়ে আমার সঙ্গে শাখারিকাঠী ইউনিয়ন তহসিলদার মো. শাখাওয়াত সাহেবের সব বিষয়ে কথা হয়েছে।’
ছড়িয়ে পড়ে ওই অডিওতে এসিল্যান্ডকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘নামজারিতে ঘুষ কত দিতে হবে। তবে জমির নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত ফি এক হাজার ১৭০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঘুরলেও মিলবে না সেবা।’
সরকার নির্ধারিত ফি’র প্রায় পাঁচগুণ টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়ার হার নির্ধারণ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের জমির নামজারিতে ৬ হাজার টাকা করে নেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন, এমনটাই ভাইরাল অডিওতে শোনা গেছে।