জাল সনদে নিয়োগ: চাকরি হারাচ্ছেন টাঙ্গাইলের ১২ শিক্ষক

  © সংগৃহীত

জাল সনদ দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলার ১২ জন শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতাসহ গৃহীত সব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতও দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 

এসময় সারা দেশের ৬৭৮ জন শিক্ষকের জন্যও একই সুপারিশ করেছন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব মো. সেলিম সিকদার ১৮ মে ২০২৩ তারিখে স্বাক্ষরিত তালিকা থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ১২ শিক্ষক জাল সনদ দেওয়ার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন। তারা হলেন জেলার কালিহাতী উপজেলার কালিহাতী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. ইদ্রিস আলী, শামসুল হক কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ মসলিম উদ্দিন, নাগরপুর যদুনাথপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মো. জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার)

মো. মাসুদ রানা, ঘাটাইলের সন্ধানপুর গণ-উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মমিনুল ইসলাম, মধুপুরের কালামাঝি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) ইমদাদুল হক, ধনবাড়ীর কদমতলী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোছাম্মৎ নুরুন্নাহার, গোপালপুরের নলীন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. মহসিনুজ্জামান খান, ভূঞাপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) আমিনা আক্তার, মো. রকিবুল হোসেন, মো. তামামুল ইসলাম ও সখিপুরের রাজাবাড়ী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) ফরিদা ইয়াসমিন।

সুপারিশ অনুসারে ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৫, মুহাম্মদ মসলিম উদ্দিনের কাছ থেকে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৬২৫, জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার ১৪০, মোছাম্মৎ নুরুন্নাহারের কাছ থেকে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৬১০, মো. মহসিনুজ্জামান খানের কাছ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫০, ফরিদা ইয়াসমিনের কাছ থেকে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ও মো. মাসুদ রানার কাছ থেকে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ টাকা আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি পাঁচজনের কাছ থেকে আদায়যোগ্য শূন্য টাকা দেখানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এনটিআরসিএর জাল সনদ দিয়ে চাকরি করায় ১২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অধিদপ্তর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৪-১৭ সালে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিরীক্ষা করা হয়। নিরীক্ষায় শিক্ষকদের জাল সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence