তরমুজ চুরির অভিযোগে কিশোরকে পিটিয়ে জখম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২০ PM , আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২০ PM
বরগুনায় তরমুজ চুরির অভিযোগে ছাব্বির রিফাত (১৬) নামে এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আদাবাড়ীয়া গ্রামের বদুল মোতালেব মিয়ার ছেলে সবুজ, সেকান্দার মুন্সির ছেলে মামুন ও সবুজের বাবা আবদুল মোতালেব।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, ছাব্বির রিফাতকে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই তিনজন বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান। আলম মিয়া তার ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলে প্রতিবেশী আবদুস সালাম জানান- তিনজন ছাব্বির রিফাতকে তুলে নিয়ে গেছে। আলম মিয়া ও তার স্ত্রী রিজিয়া বেগম আসামি সবুজের বাড়িতে রাত ৯টায় যান। বাদীর সামনে ওই তিনজন ছাব্বির রিফাতকে হাত-পা বেঁধে মারধর করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: বাইক কিনে না দেওয়ায় পেট্রোল ঢেলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আলম মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে (ছাব্বির রিফাত) আমার বাড়ির সামনে থেকে তরমুজ চুরির অপবাদ দিয়ে ওই তিনজন তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। তাদের নির্যাতনে আমার ছেলে পেশাব করে দেয়। আমি ও আমার স্ত্রী আসামিদের হাত-পা ধরলেও আসামিরা নির্যাতন বন্ধ করেনি। একপর্যায়ে আমার ছেলে জ্ঞান হারায়। আসামিরা আমাকে বলে- তোমার ছেলে তরমুজ চুরি করেছে। এ কারণে আমরা পিটিয়েছি।
তবে রিফাতকে মারধরের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. সবুজ বলেন, ছাব্বির রিফাত আমাদের তরমুজ চুরি করেছে। আমরা তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তবে মারধর করিনি।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক কিসলু বলেন, তরমুজ চুরির অভিযোগে বাড়ির সামনে থেকে ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে তিন ঘণ্টা অমানবিক নির্যাতন করেছে। পরে আদালতে মামলা হলে আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে সরাসরি পরোয়না জারি করেন।