মারধরের পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিতে অপেক্ষায় হামলাকারীদের প্রধান
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:০০ PM , আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:০০ PM
দলবেঁধে এক শিক্ষার্থীর উপর এলোপাতাড়ি হামলার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে অপেক্ষায় ছিলেন হামলাকারীদের প্রধান নেতৃত্বদানকারী। এরপর হামলার প্রায় চার ঘণ্টা পার হলে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই শিক্ষার্থীকে হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
তারা আহতাবস্থায় প্রথমে ভোলার লালমোহন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানকার চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা নেওয়ার সময় তারা বাবা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকায়। হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন ঐ এলাকার করিমের ছেলে জহির (৩৫) ও সোহেল (৩২), মফাজ্জল এর ছেলে জোবায়ের (১৭), খালেক এর ছেলে খোকন (৩৫)।
হামলায় গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. জুয়েল। সে ভোলা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. গিয়াসউদ্দিন এর বড় ছেলে। হামলাকারীরাও একই এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মা ও ছেলেকে নিজেদের বসতঘর থেকে বাইরে বের হতে দেয়নি হামলারকারীরা। ওই দিন হামলাকারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছেলে জুয়েল আছরের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়।
নামাজ শেষে বের হতেই রাস্তা থেকে চারজন মিলে রড ও লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটানো শুরু করলে জুয়েল বেহুশ হয়ে রাস্তায় পরে যায়। পরে তাকে পাশের এক দোকানের মধ্যে টেনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মাথায় ও বুকে কিল-ঘুষি দিয়ে অচেতন করে। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ কাছে আসতে পারেনি। হামলার পর ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার পাশে অপেক্ষা করতে থাকেন হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া জহির।
আহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলের অবস্থা ভালো না। তার কাশির সাথে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।’
ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা-ঢাকা দিয়েছেন। বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বক্তব্য নিতে চাইলে তারা বলেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে ভোলার লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাববুর রহমান মুঠোফোন বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন।