ফাইনালে এক পা দিতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ   © সংগৃহীত

পাওয়ার প্লে’তে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যান ইন ব্লু’দের স্কোরবোর্ড দ্রুতই এগিয়ে যায়। তবে অভিষেক শর্মার রানআউটের পরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র।

প্রথম ১০ ওভারে ৯৬ রান তুললেও, পরের ১০ ওভারে মাত্র ৭২ রান তুলেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিয়মিত উইকেট হারানোর চাপ আর বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে ভারত।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। দলের হয়ে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৭ বল খেলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন অভিষেক শার্মা।

ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে নতুন বলে দারুণ শুরু করেছিলেন তানজিম সাকিব। প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। পরের ওভারে নাসুম আহমেদও ভালো বোলিং করেন। এছাড়া তৃতীয় ওভারেই উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সাকিব। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলে দেন জাকের। সেখান থেকেই শুরু হয় ভারতীয় দুই ওপেনারের ঝড়।

অবশ্য, পাওয়ার প্লে’র পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ-স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শুভমান গিল। সাজঘরে ফেরার আগে গিল ১৯ বলে ২৯ রান করেন।

এরপর নবম ওভারের প্রথম বলেই ফেরান শিভাম দুবেকে। গুগলি বুঝতে না পেরে তুলে মারতে যান দুবে, সহজ ক্যাচ নেন লং অফে থাকা তাওহীদ হৃদয়। ২ রানের বেশি করতে পারেননি টপ-অর্ডার এই ব্যাটার।

এরপর ইনিংসের ১২তম ওভারে বড় ধাক্কা খায় ভারত, ওভারের শুরু ও শেষ দুই বলেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় ম্যান ইন ব্লু’রা। ওভারের প্রথম বলেই রানআউট হয়ে ফেরেন আগ্রাসী ইনিংস খেলা অভিষেক শর্মা। 

এতেও অবশ্য রিশাদের নাম জুড়ে দেওয়া যায়। মোস্তাফিজের বল থার্ড ম্যানের অঞ্চলের দিকে খেলেছিলেন। দারুণ ফিল্ডিংয়ে নন স্ট্র্রাইকে দেন রিশাদ। মোস্তাফিজও ভুল করেননি। রানআউটে অভিষেকের বিদায়ঘণ্টা বাজার আগে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৭ বল খেলে ৭৫ রান করেন তিনি।

আর ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুর রহমানের শর্ট ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। তবে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক জাকেরের গ্লাভসে জমা পড়ে বল। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও, রিভিউ নেন আত্মবিশ্বাসী জাকের। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, বল ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত বদলান আম্পায়ার। ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন ভারত অধিনায়ক।

এই উইকেটের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেড়শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন দ্য ফিজ। সাকিব আল হাসানের ১৪৯ উইকেট ছাড়িয়ে গিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন ইতিহাসের চতুর্থ বোলার, যিনি টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ বা তার বেশি উইকেটের মালিক।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে ফের আক্রমণে এসেছিলেন রিশাদ হোসেন, তবে এই ওভারে সাফল্য পাননি। উল্টো, ওভারের শেষ বলটি লং অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা হাঁকান হার্দিক পান্ডিয়া।

পরের ওভারে আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। তার বলে ফেরেন তিলক ভার্মা, প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭ বলে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। এতে ৫২ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় ধরণের বিপাকে পড়ে যায় দলটি।

সেখান থেকে অক্ষর প্যাটলকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় বিপর্যয় কাটিয়ে স্কোরশিট সচল রাখেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার দায়িত্বশীল ইনিংসের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিও পায় ম্যান ইন ব্লু’রা। তবে, ইনিংসের শেষ বলে তাকে ফেরান সাইফউদ্দিন। ফেরার আগে ২৯ বলে ৩৮ রান করেন হার্দিক। অন্যপ্রান্তে ১৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন অক্ষর।

 


সর্বশেষ সংবাদ