ভবিষ্যতে ভারতের অনুরোধ শোনা প্রসঙ্গে যে সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৫ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১২ PM
ক্রিকেট মাঠে ভারত–পাকিস্তানের মুখোমুখি মানেই এক অন্যরকম আবেগ, উত্তেজনা আর বৈশ্বিক দৃষ্টি। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন কেবল বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ কিংবা আইসিসির টুর্নামেন্টের সীমাবদ্ধতায় আটকে রয়েছে। যদিও অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে চায় না ভারত। তবে কেবল বহুজাতিক ক্রীড়া আসরেই পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে রাজি ম্যান ইন ব্লু’রা।
পেহেলগামের ঘটনার পরই ভারত–পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের বিষয়টি আর না এগোনোতে স্পষ্ট হয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি জানায়। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য খেলাতেও একই নীতি প্রযোজ্য। ফলে, ভারত–পাকিস্তান ক্রীড়া সম্পর্কের সব দ্বারই কার্যত বন্ধ।
অবশ্য এ সিদ্ধান্তে খুব একটা বিচলিত নয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বরং তাদের অবস্থান এখন অনেক বেশি কঠোর। লাহোরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি স্পষ্টভাবে বলেছেন— ভারতের সঙ্গে আর কোনো ‘অনুরোধভিত্তিক আলোচনা’ হবে না। যা হবে, তা পুরোপুরি সমতার ভিত্তিতে হবে।
নাকভি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা খুবই স্পষ্ট যে যখনই কোনো আলোচনার সুযোগ হবে, তা ভারতের সঙ্গে সমান অধিকারভিত্তিতে হবে। এখন আর কোনো অনুরোধের ভিত্তিতে আলোচনার সময় নেই। ওই সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন থেকে যা হবে তা পুরোপুরি সমতার ভিত্তিতে হবে।’
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট আলোচনার কেন্দ্রে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অনুপস্থিতি। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে প্রায় প্রতিটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেই ছিলেন এই জুটি। কিন্তু গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাদের ভাবনায় রাখা হচ্ছে না। আসন্ন এশিয়া কাপও তাদের ছাড়াই হবে।
শারজাহতে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজে নেই। এ নিয়ে পিসিবি সভাপতি পরিষ্কার বলেছেন—এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্বাচক কমিটির। তার কোনো ব্যক্তিগত ভূমিকা নেই।
পিসিবি সভাপতি বলেন, ‘প্রথমেই বলি– আমি দল নির্বাচন বা কাউকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এক শতাংশও যুক্ত নই। আমাদের একটি নির্বাচক কমিটি ও উপদেষ্টা প্যানেল রয়েছে। তারা বসে দীর্ঘ আলোচনার পর দল নির্বাচন করে। আমি তাদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি। যাদের প্রত্যেকেই পেশাদার এবং আমি তাদের কেবল একটা নির্দেশই দিয়েছি– মেধার ভিত্তিতে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে পাকিস্তান। তাদের সঙ্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ছাড়াও ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত রয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এর আগে, ১২ সেপ্টেম্বর ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে দ্য গ্রিন ম্যানরা।