তানভীরের ঘূর্ণি জাদুতে দারুণ জয়, সমতায় ফিরল বাংলাদেশ
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩ PM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২০ PM

ফিফটি ছুঁয়ে বাংলাদেশ শিবিরে রীতিমত ভয় ধরিয়েছিলেন জুনিথ লিয়ানাগে। শেষদিকে তার দায়িত্বশীল ইনিংসে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। তবে তাকে লিয়ানাগেকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষেমেশ ১৬ রানে হেরেছে তারা।
শনিবার (৫ জুলাই) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৫ দশমিক ৫ উইকেটে ২৪৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৬ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল সফরকারীরা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে তিনে নেমে সেই ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কুশল মেন্ডিস। নিশান মাদুশকাকে সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন এই টপ-অর্ডার ব্যাটার। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ৩১ বলে ৫৬ রান করে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। অন্যপ্রান্তে ২৫ বলে ১৭ রান করেন মাদুশকা।
তিন উইকেট হারালেও জয়ের পথেই ছিল লঙ্কানরা। তবে হঠাৎ-ই স্বাগতিক ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামান টাইগার স্পিনাররা। ৬ রানে আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন শামীম। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান তানভীর। ফেরার আগে ২ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর ভেল্লালেগেকে (১) দ্রুত সাজঘরে ফেরান শামীম। এছাড়া ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১৩) ও মহেশ থিকশানাও (২) উইকেটে জমে উঠতে পারেননি।
শেষদিকে বাংলাদেশকে বেশ চাপে রেখেছিলেন জুনিথ লিয়ানাগে। তবে ২ ছক্কা ও ৭ চারে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সাজানো তার ৭৮ রানের ইনিংস কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। শেষমেশ ১৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মাত্র ৯ রানে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও দুই অঙ্ক (১৪) পেরোনোর পর বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেই একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৬৯ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। মূলত তার বিদায়ের পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।
এরপর দ্রুতই ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৯)। অধিনায়কের বিদায়ের পর আশা জাগিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারী। তবে ২২ রানের বেশি আসেনি শামীমের ব্যাট থেকে।
দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পর দলীয় স্কোরশিট সচল রেখেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন জাকের আলী। তবে জাকের বিদায়ে ভাঙে জুটি—৬১ বলে ৪৫ রান এসেছিল এই জুটির। ৪০ বলে ১২ রান করে ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন জাকের।
তানজিমকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন হৃদয়। ক্যারিয়ারের এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফিফটিও তুলে নেন। তবে তানজিমের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান-আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। রান আউট হয়ে তানজিমের ওপর খেপে ব্যাটও ছুঁড়ে ফেলেন হৃদয়।
হৃদয়ের বিদায়ের পর দ্রুত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় লাল-সবুজরা। অবশ্য শেষদিকে ঝড় তুলেছিলেন তানজিম। ২১ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে দুটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান (০), তানভীর ইসলাম (৪), হাসান মাহমুদ (০) কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।