ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতায় ৭ বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০২ AM , আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ AM
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণতন্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফ্রিডম হাউস। সংস্থার নতুন প্রতিবেদন ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ অনুযায়ী, ৭২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৫-এ পৌঁছেছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সেরা অবস্থান। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। তবে, উন্নতির পরও বাংলাদেশ ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবেই রয়ে গেছে। বাংলাদেশ ২০১৩ সাল থেকে এই র্যাংকিংয়ে অবস্থানে রয়েছে।
ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিশেষভাবে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারানোর পর অন্তর্বর্তী সরকার কিছু ইতিবাচক ডিজিটাল সংস্কার নিয়ে আসে, যার ফলে বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতার সূচক উন্নতি করে।
ফ্রিডম হাউস ইন্টারনেট স্বাধীনতার স্কোর নির্ধারণে তিনটি প্রধান বিষয়বস্তু বিবেচনা করে: ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা, অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন। এই তিনটি দিকের ওপর ভিত্তি করে ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের স্কোর নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেছে এবং ইন্টারনেটকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেছে। তবে, অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি এবং নজরদারি এখনও রয়ে গেছে, যা উদ্বেগের বিষয়।
বাংলাদেশ সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি করেছে। নতুন অধ্যাদেশে কিছু ইতিবাচক দিক যেমন অনলাইনে হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে এখনও কিছু উদ্বেগজনক দিক রয়েছে, যেমন অনলাইনে বাকস্বাধীনতার উপর নজরদারি ও শাস্তি।
ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ শ্রেণিতে চিহ্নিত হয়েছে, শ্রীলঙ্কা ৫৩ পয়েন্ট পেয়ে এবং ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।