সফলতার সাথে বাংলার ম্যাথের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ীদের একাংশ
বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ীদের একাংশ  © টিডিসি ফটো

সম্প্রতি ৬ শতাধিক খুদে গণিতবিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলার ম্যাথ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জুনিয়র, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্সড লেভেলে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে একাধিক টিম ও প্রতিযোগীকে চ্যাম্পিয়ন, ফার্স্ট রানার্স আপ ও সেকেন্ড রানার্স আপ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। ক্যাটাগরি ভিত্তিতে তিনজন স্বতন্ত্র ও তিনটি টিম গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।  

বাংলার ম্যাথ জানিয়েছে, অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমে বাছাইয়ের পর জাতীয় পর্বের চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ৬০০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রতিযোগী ছিল ৪৫০ জন। এ ছাড়া ১০০টি টিমে আরও ৩০০ প্রতিযোগী এতে অংশ নিয়েছে। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জুনিয়র, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্সড লেভেলে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালের পর জন্ম নেওয়া প্রতিযোগীরা জুনিয়র লেভেল, ২০১০-১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রতিযোগীরা ইন্টারমিডিয়েট এবং ২০০৭-০৯ সালে জন্ম নেওয়া প্রতিযোগীরা অ্যাডভান্সড লেভেলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

প্রতিটি ক্যাটাগরিতে একাধিক টিম ও প্রতিযোগীকে চ্যাম্পিয়ন, ফার্স্ট রানার্স আপ ও সেকেন্ড রানার্স আপ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। ক্যাটাগরি ভিত্তিতে তিনজন স্বতন্ত্র ও তিনটি টিম গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রতিযোগীদের মধ্যে জুনিয়র লেভেল গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন নওশাদ জামান, ইন্টারমিডিয়েট গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন প্রজেশ ভৌমিক ও অ্যাডভান্সড লেভেল গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাহসিন ইসলাম। টিম হিসেবে জুনিয়র লেভেলে গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন টিম সিগমা কিউব, ইন্টারমিডিয়েট লেভেলে থিংকার্স ট্রায়াঙ্গেল ও অ্যাডভান্সড লেভেলে গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দ্য আলজেব্রস। এ ছাড়া জামাল নজরুল ইসলাম মেমোরিয়াল বেস্ট টিম এওয়ার্ড পেয়েছে ‘সিগমা কিউব’। আর বেস্ট ফিমেল টিম হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ‘এঙ্গেল আর্টিস্ট’।

বাংলার ম্যাথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ শাহরিয়ার শুভ বলেন, বাংলার ম্যাথের কার্যক্রম যে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে, তার একটি উদাহরণ এবারের বিএমটিসি। ৪৫টিরও বেশি জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে অংশগ্রহণ করেছে। পরের বছর আমরা ৬৪ জেলাতেই এটা ছড়িয়ে দিতে চাই। এ ধরনের জ্ঞানের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা যত বেশি অংশগ্রহণ করবে, তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তত বেশি বাড়বে। 

আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা এস এম মাহ্তা‌ব হোসাইন বলেন, প্রতিযোগিতার জন্য দল গঠন করে গণিতের চ্যালেঞ্জিং সমস্যা সমাধান করার প্রচলন আমাদের দেশে একেবারেই নেই। বাংলার ম্যাথ থেকে এরকম একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মাঝে টিমে কাজ করার মানসিকতা গড়ে তোলা এবং নেতৃত্ব দানের গুণাবলির চর্চা করা যা তাদেরকে পরবর্তী জীবনে সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করি।

এ বিষয়ে সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আল শাকুর বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এ বছর যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অনেকেই বেশ ভালো করেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের পরীক্ষার প্রশ্ন বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং নতুন ছিল। তারপরও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে পুরস্কার অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৬টি স্বর্ণপদক পেয়েছিলাম। আশা করছি এবারও আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে।


সর্বশেষ সংবাদ