ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে এমপিওভুক্তির আবেদন, অধ্যক্ষ বললেন— ‘এটা কোনো বিষয় না’

বনপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
বনপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ৬ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বনপাড়া আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসলে শনিবার (৬ জুলাই) রাতে (ইউএনও আলীনূর খান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি  তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালে নিম্নমাধ্যমিক ও ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এমপিওভুক্ত হয়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ইউএনও আলী নূর খানের স্বাক্ষর স্ক্যান করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ছয়জনের (পাঁচ শিক্ষক ও এক অফিস সহায়ক) এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন অধ্যক্ষ। এ ছাড়া একই স্বাক্ষর ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য একটি এডহক কমিটিও গঠন করা হয়। এমন জালিয়াতি সম্পর্কে ইউএনও কিছুই জানতেন না। পরে বিষয়টি নজরে আসলে তিনি গত ৬ জুলাই রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ইমদাদুল হক তার স্ত্রী, স্ত্রীর বড় ভাই, ছেলেসহ ৯ আত্মীয়কে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে ইউএনও আলীনূর খান বলেন, গত শুক্রবার আমার স্বাক্ষরিত কিছু নথি হাতে পাই। পরে জানতে পারি, আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ওই নথিতে ব্যবহার করে শিক্ষক এমপিওর আবেদন এবং প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি যে এক ধরনের প্রতারণা, তা খুবই স্পষ্ট। 

তিনি আরও বলেন, কতদিন ধরে এমনটি চলছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। বিষয়টি তদন্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি)–কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক বলেন, এটা কোনো গুরুতর বিষয় নয়। ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিলেই বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে।

তার স্ত্রী ওই কলেজে চাকরি করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, তিনি অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছেন।  


সর্বশেষ সংবাদ