হাদির জানাজাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন জামায়াতের ৬ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩২ PM
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। জানাজায় আগত সর্বসাধারণকে সার্বিক সহযোগীতা করতে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের ৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে জানাজাস্থলে আসতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জরো হচ্ছেন। ছাত্র-জনতার খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জানাস্থলে প্রবেশ করছেন। রাস্তার পাশেই কয়েকজনের ছোট ছোট টিম হয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের। স্বেচ্ছাসেবকের পোশাক শরীরে জানাজায় আগত সর্বসাধারণকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা।
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ঢাকা মহানগর উত্তরের যুব ওয়ার্ডের জামায়াত নেতা সাকিব ইসলাম জানান, দলের নির্দেশে তারা এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। ঢাকার দুই মহানগরীর ৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা জানাজা থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও তাদের স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শহীদ ওসমান হাদির মতো একজন বীরের জানাজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী যে আন্দোলন ওসমান হাদি ভাই শুরু করেছেন, আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও সে আন্দোলন জারি রাখব।
এদিকে জানাজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। পুলিশ, র্যাব, আনসার, সেনাবাহিনীসহ অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড় ৯ টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমাগারে রাখা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সংসদ ভবন এলাকায় হাদির মরদেহ আনা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা হাদিকে গুলিবর্ষনকারী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে শনাক্ত করে। ওই আসামি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। পরে সেখানে অপারেশন চলাকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।