‘বিএনপি সরকার গঠন করলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত রাজাপুর-কাঁঠালিয়া গড়ব’
- ঝালকাঠি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ PM
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা গোলাম আজম সৈকত বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যদি সরকার গঠন করে তাহলে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, মাদক ও সন্ত্রাসীদের রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায় কোনো স্থান হবে না—এই কথা আমি আপনাদের দিচ্ছি।’
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলার ৫ নম্বর শৌলজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
সৈকত বলেন, ‘একটি উন্নত মডেল রাজাপুর-কাঠালিয়া গড়ার লক্ষ্যে একজন ভালো ও সৎ মানুষকে চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া দরকার। আপনারা দেখেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই অঞ্চলে একজন ভোট চুরি করা এমপি সৈরাশাসন করে জনগণকে নির্যাতন করেছেন। রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উপজেলায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া দীর্ঘ ১৫ বছরে লাগেনি। কিন্তু পূর্বে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ আমরা করেছি।’
তিনি বলেন, বিষখালী নদীর ভাঙনে রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাদের বসতঘর, ফসলি জমি, এমনকি কবরস্থানও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা তো দূরের কথা, পুরনো বাঁধেরও সংস্কার করেনি। তারা মানুষের কষ্ট দেখেও কিছুই করেনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা মানুষের কষ্ট দেখেও তাদের পাশে ছিল না, তারা এখন কোথায়? তাদের মা নেত্রী এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদি আর মাত্র ২৫ মিনিট সময় পেত বাংলার আপামর জনতা, তাহলে জানি না তার অবস্থা কী হতো। এগুলোই তার প্রাপ্য ও কর্মের ফল।
গোলাম আজম সৈকত আরও বলেন, ‘ঠিক সেই রকম ৫ আগস্টের পর রাজাপুর-কাঠাঁলিয়ার কিছু বিএনপি নেতাও আছেন—যারা নির্যাতন করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন। তবে তারা ৫ আগস্টের কথা ভুলে গেছেন। তাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত ৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ থেকে। এই সব কারণেই আজ রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার বিএনপির মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। একজন রাজাপুরে, একজন কাঁঠালিয়ায়—এরা কেউই বিএনপির মূল ধারার সঙ্গে নেই। তাদের নিয়ে আরেক নেতা চলতে পারছেন না। এই সকল কারণে আজ ঝালকাঠি-১ আসন মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত অবস্থায় আছে।’
এ ছাড়া আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান আকন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকির হোসেন কিসলু সিকদার, সাবেক সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান ফুল, স্বেচ্ছাসেবক দল মালয়েশিয়া শাখার সহ-সভাপতি গোলাম কবির, কাঁঠালিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, কাঁঠালিয়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল মালেক তালুকদার, কৃষক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, কাঁঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন পান্না মুন্সী, কাঁঠালিয়া উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী লীনা পারভীন এবং জিয়া মঞ্চ কাঁঠালিয়া উপজেলার সভাপতি এইচ এম বাদলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।