রংপুরে মাদক মামলায় ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- রংপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৩ PM
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির মধ্যে দছির উদ্দিন মাদক মামলায় ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মহিপুর গ্রামের খোকা মিয়া, দছির উদ্দিন ও সোনা মিয়াকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ।
এর আগে একই গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাল বাদশা (২৩) তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, গ্রেপ্তার তিনজন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। তাঁরা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। জামাল বাদশার থেকেও ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে টাকা না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে স্থানীয় কিছু যুবককে ব্যবহার করে মানববন্ধন ও মিছিলের আয়োজন করে চক্রটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দছির উদ্দিন ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার পলাতক আসামি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছিলেন এবং এখনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের হাতে জব্দ হওয়া ৮০ বোতল ফেনসিডিলের সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা আছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তও তারা মানে না। বিচারের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও নতুন নয়।
এ বিষয়ে লক্ষীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আল হাদী বলেন, ‘দছির ও সোনা মিয়াসহ আমার ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমি আগে থেকেই বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু উল্টো তারাই আমাকে মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়েছে।’
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দছির উদ্দিন নামে একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।