তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে মশাল মিছিল
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪১ PM
রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার বুকচিরে প্রবাহিত তিস্তা নদীর একতরফা পানি প্রত্যাহাচরের প্রতিবাদে এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে হাজারো মানুষ মশাল মিছিল করেছে। ‘অন্ধকার দূর করে আলোর মুখ দেখবে তিস্তা নদী পাড়ের মানুষ’—এ প্রত্যাশায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় লালমনিরহাট পয়েন্টে তিস্তা চরে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাজারো মানুষ এতে অংশ নেন। সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নদীর দুই তীরের বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ হাতে মশাল নিয়ে তিস্তার তীরে জড়ো হন।
মশাল প্রজ্বলনে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা বলেন, তিস্তা নদীকে বাঁচাতে হবে, রংপুর বিভাগের মানুষকে বাঁচাতে হবে। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, 'তিস্তার দুই তীরে ২৪২ কিলোমিটার ও ৩৬০ কিলোমিটার অববাহিকায় এখন হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়, ক্ষতি হয় ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। এ কারণে রংপুরের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা নদীকে ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ফিরবে, পাশাপাশি দুই কোটি মানুষের জীবন, জীবিকা, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই হবে।'
মশাল মিছিলে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ ও রংপুরের গঙ্গাচড়া সেতু পয়েন্টে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি উপস্থিত ছিলেন। রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উলিপুর পাকারমাথা থেতরাই পয়েন্টে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর সেতু পয়েন্টে বরকত উল্লাহ বুলু যোগ দেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তিস্তা নদী রক্ষায় এই আন্দোলন চলবে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত।