কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত তিন দোকান
- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২০ PM
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ও দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া গ্রামের নতুনবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফজরের আজানের সময় স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন নেছার উদ্দিন দোকানগুলোতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকযোগে এলাকাবাসীকে ডাক দিলে তারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় এবং দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ও দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে হাবিবুর রহমানের কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্সের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়— যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা। আল-আমিনের ইলেকট্রনিক্স দোকানে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। এছাড়া বাচ্চু মিয়ার মুদি ও মনোহরী দোকানে প্রায় ৫ লাখ টাকার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকালে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জীবনের সব সঞ্চয় শেষ হয়ে গেলো।’
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, ‘ঋণ করে দোকানে ইলেকট্রনিক্সের মালামাল তুলেছিলাম। বিক্রির টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করার কথা ছিল। এখন কিছুই রইল না। কিভাবে সংসার চালাবো বুঝতে পারছি না।’
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানে চিনি, চাল, ডালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার পণ্য ছিলো। কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এলাকাবাসীর সহায়তা ছাড়া এখন কিছু করার উপায় নেই।’
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে চারটার দিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেলেও আশপাশের অন্যান্য দোকানগুলো রক্ষা পেয়েছে।’
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’