মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

মহেশখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি
মহেশখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি  © টিডিসি

কক্সবাজারের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালারমার ছড়া এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে চারটি এলজি, তিনটি একনলা বন্দুক, তিনটি দেশি শটগানসহ ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো পাহাড়েই তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অভিযান চলাকালে ডাকাত দলের আস্তানা হিসেবে পরিচিত কয়েকটি ‘টংঘর’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ ও নৌবাহিনীর অন্তত ২৫০ সদস্য অংশ নেন।

পরে ঘটনাস্থলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান জানান, গত কয়েক মাসে মহেশখালীতে একাধিক হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে তারেক বাহিনী, বাবু বাহিনী, রাসেল বাহিনী, রশিদ বাহিনীসহ একাধিক ডাকাত গোষ্ঠী। এসব বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, ‘মহেশখালীতে অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও লবণ উৎপাদনের ঘোনা রয়েছে। এগুলো দখল-বেদখল নিয়ে সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের মধ্যে নিয়মিত সংঘাত ঘটে। ডাকাতরা দুর্গম পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে সেখানে ভ্রাম্যমাণ কারখানায় অস্ত্র তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করছে।’

এর আগে গতকাল বুধবার টহলরত তিন পুলিশ সদস্যকে গুলি করার ঘটনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিছুদিন আগেও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে সাতটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!