পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে চিরকুট
আল্লাহ নাজমুলকে সারা জীবনের জন্য আমার করে দেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৩৯ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৯ PM
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিবার দানসিন্দুক (দানবাক্সে) খুলে বিপুল পরিমাণ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার মিললেও এবারও পাওয়া গেছে একটি ভালোবাসার আকুতি ভরা চিরকুট।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দান সিন্দুকে টাকার সঙ্গে পাওয়া অসংখ্য চিঠির মধ্যে ওই চিরকুটটি পাওয়া যায়।
ভালোবাসার আকুতি ভরা ওই চিরকুটে লিখাছিল, ‘আল্লাহ তুমি আমাকে নাজমুলকে সারা জীবনের জন্য আমার করে দেন। আল্লাহ আপনার কাছে নাজমুলকে আমার জামাই হিসেবে চাই। আল্লাহ তুমি আমার আশা পূরণ করুণ।’
এর আগে সকালে পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খোলে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এনে গণনা করা হয়।
জানা গেছে, এবার চার মাস ১৮ দিন পরে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারীসহ চার শতাধিক মানুষের একটি দল এসব বস্তাভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়। এ কারণে এবার নতুন করে বসানো হয়েছে আরও তিনটি দানবাক্স।
এর আগে চার মাস ১২ দিন পর চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এরশাদুল আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ ছাড়াও এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।