দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৮

দগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
দগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে  © সংগৃহীত

দিনাজপুর শহরের কালীতলায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী-শিশুসহ আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার (১০ জুন) বেলা তিনটার দিকে শহরের কালীতলায় মাহবুব রহমানের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার মাজাডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২০), গৃহকর্তা মাহবুব রহমানের স্ত্রী রুবিনা আক্তার (৪৫), প্রতিবেশী নরেশ চন্দ্রের ছেলে মলয় চন্দ্র (৩০), সাল্লুর স্ত্রী আমিদা রানী (৪৬), কামরুদ্দিনের ছেলে শাহজাহান কবির (৬০), সাবেক কমিশনার মনিরুল ইসলাম বুলুর স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪৫) ও তাদের ছেলে স্বচ্ছ (১৩), এবং প্রাইভেট শিক্ষক ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব (২৬)। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজ উদ্দিনের শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তার শ্বাসনালিও দগ্ধ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। 

বিস্ফোরণে দগ্ধ একজন জানান, দোকান থেকে আনা নতুন গ্যাস সিলিন্ডারটি মাহবুব রহমানের বাসায় সংযোগ দেওয়ার পর থেকেই লিকেজ হচ্ছিল। লিকেজ বন্ধের চেষ্টা চলাকালেই হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ওই সময় রিয়াজ উদ্দিন লিকেজ বন্ধ করতে রান্নাঘরে যান এবং তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের তাপে আশপাশে থাকা অন্যান্য লোকজনও দগ্ধ হন।

আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগলেও ছেলেরা সহায়তা চায় না কেন?

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক ইসরাত রূপালী ও চিকিৎসক নেন্সি জানান, আটজন নারী-পুরুষ ও এক কিশোর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘বেলা তিনটার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গুরুতর আহত দুজনকে আগেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আমরা রান্নাঘরে গিয়ে চুলা ও সিলিন্ডারে আগুন দেখতে পাই এবং তা নিভিয়ে ফেলি। বিস্ফোরণে রান্নাঘরের টিনশেড ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডারটি সঠিকভাবে স্থাপন না করার কারণে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।’

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ