ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন, ঘরে বসেই করা যাবে দান
- কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫২ PM , আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৯ AM

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাগলা মসজিদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, নামাজের সময়সহ বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে মানুষ মসজিদটিতে দানের টাকা পাঠাতে পারবেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ফৌজিয়া খান আনুষ্ঠানিকভাবে পাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট (www.paglamosque.org) উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ ব্যবহার করে পাগলা মসজিদে ৫ হাজার ৪শত টাকা দান করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলী।
এ সময় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, মসজিদ কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এরশাদ মিয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী, আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক দিলোয়ার হোসেন দিলু, কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ইকরাম হোসাইন প্রমুখসহ পাগলা মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের স্মৃতি সংরক্ষণে ও সাহস সঞ্চারণে ১০ প্ল্যাটফর্ম
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পাগলা শুধু কিশোরগঞ্জ নয় সমগ্র দেশবাসীর কাছে একটি আবেগের জায়গা। এই মসজিদে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করেন। মানুষের দানে উপচে পড়ে মসজিদের দানসিন্দুকগুলো। প্রতিবার দানসিন্দুকগুলো খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এ মসজিদে দানের পরিমাণ বাড়ছে।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। ঐতিহাসিক এই মসজিদকে নিয়ে জেলার ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই গর্ববোধ করেন।