৫ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণ কাজ, অতিরিক্ত ৫ কি.মি পাড়ি দিতে হয় দুই উপজেলাবাসীর
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫, ০৪:০০ PM
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া ও ত্রিশাল উপজেলার সংযোগ সড়ক আখিলা নদীর রাঙ্গামাটিয়া খালের উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চারবার সময় বাড়ালেও পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। ফলে রডে ধরেছে মরিচা। কবে এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলতে পারেনি স্থানীয় এলজিইডি অফিস।
এলজিইডি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আখিলা নদীর রাঙ্গামাটিয়া খালের উপর ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সকে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। এক বছর সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি এর কাজ। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পলাশতলী, রাধাকানাই, গোবিন্দপুর, ধুরধুরিয়া ছলিমপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে।
গতমাসে সেখানে চলাচলের জন্য কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হলে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় পড়ে মারাত্মক আহত হন পশু চিকিৎসক বজলুর রহমান। এছাড়াও অনেকের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আলহাজ তোফায়েল আহামেদ জানান, ফুলবাড়ীয়া ও ত্রিশাল উপজেলায় সড়ক যোগাযোগে সহজ সংযোগ স্থাপন করে ব্রিজটি। ব্রিজটি পাকাকরণের কাজ সঠিক না হওয়ায় এলাকার মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। জুলাই আন্দোলনে নিহত আমিরুল ইসলামের লাশ এক কি.মি. নিতে হয়েছে কাঁদে করে। ব্রিজটি নির্মাণ না করায় ৫ কি.মি. ঘুরে দুই উপজেলার মানুষ যাতায়াত করছে।
এ বিষয়ে নির্মাণাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সের ম্যানেজার সাদ্দাম হোসেন জানান, বন্যা ও করোনার কারণে ব্রিজ নির্মাণে ৪বার সময় বাড়ানো হয়েছে। আমরা খুব দ্রুততম সময়েই আবার কাজ শুরু করবো।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করার জন্য ৭ বার চিঠি দিয়েছি। এ পর্যন্ত ব্রিজের একটি গার্ডার নির্মাণ কাজ করেছেন। কিন্তু ঠিকাদার বাকী কাজ করতে তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও আমাদের কথায় কর্ণপাত করছেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।