সোহানা খাতুনের ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন © টিডিসি
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এবং এ ঘটনার বিচার ও ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ সোমবার (১৬ জুন) সকাল ১০টায় মাদ্রাসা-সংলগ্ন বায়সা বাজারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই হাতে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। প্ল্যাকার্ডে লেখা,
‘আমার সোহানার বিচার চাই’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করো’।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কবির হোসেন।
এ সময় কান্নাভেজা কণ্ঠে বক্তব্য দেয় সোহানার সহপাঠীরা। তারা বলে, ‘আমরা এখন ক্লাসে যেতে ভয় পাই। সোহানা ছিল আমাদের বন্ধু, আমাদের মতোই একজন। আমরা চাই ওর হত্যাকারী যেন দ্রুত ফাঁসি হয়।’
আরও পড়ুন: ‘আরবি প্রভাষক’ পদের ভাইভায় আরবি পড়তে পারেননি অনেক প্রার্থী
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুল মালেক, অভিভাবক সদস্য রবিউল ইসলাম মিলন, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম, শিক্ষক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি আতাউর রহমান জসি, দপ্তর সম্পাদক কে এম ইদ্রিস আলী, ‘সেবা’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, ডা. ইবাদ আলী, নিহত সোহানার বাবা আবদুল জলিল, বাজার কমিটির সভাপতি মোরশেদ আলম, ‘স্বপ্নচূড়া’ সংগঠনের সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান, সাদা মনের মানুষ-খ্যাত সায়েদ আলী বিশ্বাস, গ্রামবাসী তরিকুল ইসলাম, জুয়েল রানা, জুলফিকার আলী, নাহিদ হাসান প্রমুখ।
এ সময় সোহানার বাবা আবদুল জলিল বাকরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ে কিছুই বুঝত না, বই আর খেলা ছাড়া কিছু জানত না। কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমার বুকের ধন। আমি চাই, এই ঘাতক যেন আর কারও সন্তানের জীবন নিতে না পারে।’