কামারপাড়ায় দা-বটির টুংটাং শব্দে কোরবানির আগমনি সুর
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০১:৪৫ PM , আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ০১:৩৭ PM
আর মাত্র ছয় দিন পর ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ফরিদপুরের মধুখালীর কামারপাড়ায় এখন দা, বটি, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ির ঠুং-ঠাং শব্দে মুখরিত পুরো এলাকা। দিন-রাত এক করে কাজ করছেন তারা। বছরজুড়ে অপেক্ষাকৃত কম কাজ থাকলেও এই সময়টাতে বাড়তি রোজগারের আশায় যেন ক্লান্তি ভুলে গেছেন সবাই।
মধুখালী বাজারের অভিজ্ঞ কামার রাজকুমার বলেন, “এ বছর লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় দা, চাকু, ছুড়ির দাম কিছুটা বেশি। আবার টানা বৃষ্টি ও সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কোরবানির সংখ্যা কমে যেতে পারে—এজন্য ক্রেতার ভিড় তুলনামূলক কম। তবে আমরা কাজ থামাইনি। আমার সঙ্গে আরও চারজন সহকারী কাজ করছেন—কেউ নতুন দা-বটি বানাচ্ছেন, কেউ পুরনোগুলোতে শান দিচ্ছেন। অনেকেই কোরবানির মৌসুমে বাড়তি রোজগারের আশায় নতুন দা-বটি নিচ্ছেন।”
তিনি আরও জানান, এ বছর কাজের চাপ তুলনামূলক কম হলেও ঈদের দিন সারা রাত কাজ করতে হয়।
মধুখালী বাজার ছাড়াও শ্রীপুর কামারপাড়া, কামারখালী, মেগচামী, নওপাড়া ও বাগাটসহ আশপাশের বিভিন্ন হাট-বাজারেও একই চিত্র। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কামাররা দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কামারপট্টিতে এখন টান টান ব্যস্ততা। পুরনো দুটি চাপাতি, একটি চাকু, একটি বটি ও একটি ছুরিতে শান দিতে খরচ পড়ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, যেখানে অন্যান্য সময়ে এই মজুরি ছিল ২০০ টাকার মধ্যে। নতুন একটি বটি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়, আর কুড়াল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা—দা-বটির ঝনঝনানিতে মুখরিত মধুখালী এখন ঈদের আমেজে ভরপুর।