নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের পর এবার দশমের আরেকজনকে ঘরে তুললেন প্রধান শিক্ষক
- নওগাঁ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৮ PM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫২ AM

নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী) দোলাকে তৃতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। তিনি জেলার মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বুধবার (২৬ মার্চ) তার প্রতিষ্ঠানের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তাকে ঘরে তোলেন তিনি। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রিনা আক্তার পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সময় দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন উঠেছিল প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেন। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সে যাত্রায় রক্ষা পান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের সঙ্গে শিক্ষার্থী দোলা আক্তারকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একাধিক বৈঠকও হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আকরাম এসবের তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকের এসব আচরনের কারণে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়াসহ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই ছাত্রী স্কাউটস এর সদস্য হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনের কথা বলে নওগাঁ, রাজশাহী ও জয়পুরহাট নিয়ে যেতেন প্রধান শিক্ষক। এরই এক পর্যায়ে তাদের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু ভূক্তভোগী মেয়েটি গরীব পরিবারের হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। অথচ, বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটির বাবা,মা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর ওই প্রধান শিক্ষক মেয়েটিকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেন। এমন পরিস্থিতিতে কোন প্রতিকার না পেয়ে বিব্রতবোধ করছেন মেয়েটির পরিবারের লোকজন।
তারা আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে দোলাকে প্রধান শিক্ষক আকরামের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের বাসায় তুলে দেন তার অভিভাবকেরা। এরপর থেকে দোলা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। উপায়ান্ত না থাকায় আজ বুধবার তাকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন আকরাম হোসেন। প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মণ্ডল ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। এ কারণে বাবার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করেও তিনি পার পেয়ে যান। বারবার ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, পারিবারিক ভাবেই তাকে আজ বিয়ে করেছি। এতে তার পরিবারের কোন আপত্তি নেই।