স্বাধীনতার ৫৩তম বছরে এসেও কোটা পদ্ধতি থাকা উচিত নয়: সাইয়েদ আবদুল্লাহ
- আমান উল্যাহ আলভী
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৫ PM , আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:২৮ PM
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসাথে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অন্যদিকে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলাম, তখন কোটা আন্দোলন প্রথম শুরু হয়। তখন আমরাও কিন্তু ছাত্রদের অধিকারের পক্ষে রাস্তায় ছিলাম। আমার সরকারি চাকরি করার ইচ্ছে হয়তো ছিল না। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, এটা আসলে দেশের লাখ লাখ তরুণের স্বপ্ন। বর্তমানে যে কোটা আন্দোলন চলছে, এটা আসলেই যৌক্তিক।
তিনি বলেন, দেশের সরকারি চাকরিতে বা যেকোনো স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানে কোটার বিদ্যমান যে সিস্টেমটা রয়েছে এটাকে আমি সমর্থন করি না। কারণ স্বাধীনতার ৫৩তম বছরে এসেও এই কোটা সিস্টেমটা থাকা উচিত নয়। এটাকে আসলেই সংস্কার করা উচিত। তরুণদের যে দাবি, এটা অবশ্যই যৌক্তিক দাবি।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগ করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্যই সম্মান জানানো উচিৎ বলে মত তার। সাইয়েদ আবদুল্লাহ বলেন, অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানো উচিত, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সম্মান জানানোর মানে এই না যে তাদের নাতি-নাতনিদেরও কোটা দিয়ে দিতে হবে। আমি চাই যে মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ হোক এবং কোটামুক্ত হয়ে বাংলাদেশ একটা মেধার দুনিয়ায় প্রবেশ করুক।
মো. সাইয়েদ বিন আবদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালে ঢাবি বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থেকে (‘ঘ’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। এর আগে পাবনা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পাবনার আলহেরা একাডেমি থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন।
সম্প্রতি রাফসানের পরিবারের আড়াই কোটি টাকার ব্যাংকঋণ ও ঈদুল আজহার আগে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের কর্মকাণ্ড, তার পরিচয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (অপসারিত) মো. মতিউর রহমানকে নিয়ে একাধিক বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে আলোচনায় আসেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।