অমর একুশে বইমেলায় ‘রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ PM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ PM

পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দীঘির পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে চোখে পড়বে প্যাভিলিয়ন নম্বর ২২। ইতি প্রকাশনের এই প্যাভিলিয়নটা যেন বগুড়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি।
প্যাভিলিয়নের সম্মুখভাগে রয়েছে জিয়াউর রহমানের বড় একটা ছবি। উত্তর পাশের দেয়ালের উপরিভাগে রয়েছে জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বড় ছবি-সম্বলিত চারটা বইয়ের কাভার।
বইগুলো হলো মাহফুজ উল্লাহর লেখা প্রেসিডেন্ট জিয়া- রাজনৈতিক জীবনী এবং বেগম খালেদা জিয়া- জীবন ও সংগ্রাম, তারেক রহমানের লেখা সবার আগে বাংলাদেশ এবং মির্জা ফখরুলের আমার স্বপ্ন আমার দেশ।
প্যাভিলিয়নের সম্মুখভাগেই লেখা ২২ শে আষাঢ় ১৩০২, ১৮৯৫। ঠিক এই লেখাটি মেজর জেনারেল জিয়ার পৈতৃক বাড়িতেও আছে। জানা যায়, এটি বাড়ি নির্মাণের তারিখ।
জানা গেছে, গত ১৬ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বইমেলায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কিংবা বিএনপির নেতাদের এত বড় ছবি প্রদর্শন করা যায়নি। ২০২৪ সালের অমর একুশে মেলায় বেগম খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুলের ছোট দুইটা ছবি টাঙালে একদল লোক এসে সেগুলোও নামিয়ে দেন। বিএনপি সংশ্লিষ্ট কোনো বই প্রদর্শনীতে রাখা যায়নি।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্যাভিলিয়নের চারপাশে প্রচুর ভিড়। অনেকেই প্যাভিলিয়নের দেয়ালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ অন্য বড় ছবিগুলোর সাথে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ ভেতরে গিয়ে বইগুলো উল্টে দেখছেন।
প্রকাশক মো. জহির দিপ্তী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই প্যাভিলিয়নটা বগুড়ার বাগবাড়িতে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ির আদলে বানিয়েছি। সম্মুখভাগে যে তারিখটা আছে, সেটা আসল বাড়িতেও আছে।
তিনি বলেন, আমরা গত কয়েক বছর শুধু দুই ইউনিট স্টল বরাদ্দ পেয়েছি। আমাদেরকে কখনো প্যাভিলিয়ন দেওয়া হয়নি। আমরা ঠিকঠাক জিয়াউর রহমান কিংবা ম্যাডামের (বেগম খালেদা জিয়ার) বইও প্রদর্শন করতে পারিনি।
‘‘গত বছর ম্যাডাম আর পার্টির মহাসচিবের দুইটা ছবি ছিল স্টলে। সেগুলো ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এসে একদল লোক খুলতে বাধ্য করে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করেছি পার্টিকে যতটুকু পারা যায় তুলে ধরতে।’’