৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কাউন্সিল নির্বাচন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৩ AM , আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৭ PM
গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির (এএসবি) দুই বছর মেয়াদি নতুন কাউন্সিল গঠনে আগামী ৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করছে ‘মূলধারা প্যানেল’ এবং ‘মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্যানেল’।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এশিয়াটিক সোসাইটি প্রাঙ্গনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক শরীফুল্লাহ ভূঁইয়া। সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক সিরাজুল হক ও অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
এশিয়াটিক সোসাইটির (এএসবি) নির্বাচনে মূল ধারা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রার্থী ড. হারুন-অর-রশিদ, সহ-সভাপতি (৩ জন) ড. হাফিজা খাতুন, ড. সাজাহান মিয়া, ড. ইয়ারুল কবীর। কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, সম্পাদক ড. মো. আবদুর রহিম। ১০টি সদস্য পদে ড. আবদুল বাছির, ড. আরিফা সুলতানা, ড. আশা ইসলাম নাঈম, ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, ড. মাহবুবা নাসরীন, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড. মীজানুর রহমান, ড. নাজমা খান মজলিস, ড. সাব্বীর আহমেদ, ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ (সৌরভ সিকদার)
মূলধারা প্যানেল’ এবং ‘মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্যানেল’ পরিচিতি
মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রার্থী ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি (৩ জন) ড. ঈশানী চক্রবর্তী, ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ (মেসবাহ কামাল), রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান। কোষাধ্যক্ষ ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ড. মো: হাকিম আরিফ, সম্পাদক ড. মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির। ১০টি সদস্য পদে ড. এ. কে. এম গোলাম রব্বানী, মাহবুব খান, ড. মো: আবদুল করিম, ড. মো: কামরুল আলম খান, ড. মো. মোকাম্মেল হোসেন, ড. নুসরাত ফাতেমা, ড. এস এম শামীম রেজা, ড. সাদেকা হালিম, ড. শুচিতা শরমিন ও ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ।
মূল ধারা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রার্থী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এশিয়াটিক সোসাইটির একটা আদর্শ হলো এটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এটা একটা অদলীয় প্রতিষ্ঠান। আমাদের সমাজের বিভিন্ন লোকজন দলীয়ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এশিয়াটিক সোসাইটিকে আমরা সবকিছুর উর্ধ্বে যারা জ্ঞান চর্চা করবে, মৌলিক গবেষণা করবে তাদেরই একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখতে চাই। এটাই এর মূল আদর্শ। এটা একক দলের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সম্মিলিতভাবে সবাইকে নিয়ে পথচলা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক যে আদর্শ সেটাতো থাকতেই হবে। সেটা আমাদের গাইডলাইন।
তিনি আরো বলেন, আর্থিক ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে যে নীতিমালা রয়েছে সেটাকে সমুন্নত রাখতে চেষ্টা করবো। এসব বিষয়ে কাউকে ছাড় দেইনা। কারো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ নেই। কোনো ধরনের অনিয়মের প্রশ্রয় দেই না।
জানতে চাইলে মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্যানেল থেকে সদস্য প্রার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এশিয়াটিক সোসাইটি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে বুদ্বিবৃত্তিক চর্চা যারা করেন, যারা গবেষণা করেন এটা তাদের সম্মিলন। আমি নিজেও বিভিন্ন গবেষণার কাজে জড়িত এছাড়াও এখন প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করছি। আমার অভিজ্ঞতাগুলো সেখানে শেয়ার করবো। গবেষণায় অবদান রাখার চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি’ মৌলিক গবেষণার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। ১৯৫২ সালে এশিয়ার মানুষের জীবন-কর্ম এবং প্রকৃতি বিষয়ে গবেষণায় আত্মনিয়োগে গবেষকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি’ নামে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পরের বছর প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি’।