রেড মার্চ ফর জাস্টিস: বিচারের দাবিতে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

বাকৃবিতে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি
বাকৃবিতে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)-তে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৬টায় প্রশাসনিক ভবনের পাশে আমতলায় প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

প্রেসব্রিফিংয়ে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘গত ৩১ আগস্ট বহিরাগতদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা, সেখানে প্রশাসন ও শিক্ষকরা নীরব থেকেছেন। এ হামলা শুধু ইট-পাথরের ওপর নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব, স্বপ্ন ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।’

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় বসেন এবং ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। আলোচনার ভিত্তিতে হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক বা একাডেমিক হয়রানি না করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এসব সিদ্ধান্তের লিখিত প্রমাণ এখনও পাননি শিক্ষার্থীরা, যার ভিত্তিতে তারা পরবর্তী আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

এরপর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মৌন মিছিল শুরু করেন, যা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সমাবর্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান কর্মসূচির সময় শিক্ষার্থীরা মাথার লাল কাপড় খুলে চোখে বেঁধে নেন। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন হামলার ঘটনায় ‘অন্ধের মতো’ আচরণ করছে।

আরও পড়ুন: ভিনদেশে ভয়াল সন্ধ্যা: কোরিয়ায় সড়কে রক্তাক্ত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

অবস্থান কর্মসূচিতে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মীরা বলেন, ‘আমাদের চোখ এখন যেমন বন্ধ, তেমনি প্রশাসনের চোখও এই ঘটনার বিষয়ে বন্ধ। তারা আমাদের অসহায় অবস্থা দেখছে না। আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের সেই অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে টেকনিক্যাল ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না দেওয়ায় সিন্ডিকেট সভা করা সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব পেলে আমরা আলোচনা করে দ্রুত সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করব।’

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।


সর্বশেষ সংবাদ