গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত হলো ‘জুলাই শহিদ দিবস’

গাকৃবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া
গাকৃবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া  © সংগৃহীত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) ‘জুলাই শহিদ দিবস’ পালিত হয়েছে। ঐতিহাসিক জুলাই’২৪ গণঅভ্যুত্থানে জাতির জন্য আত্মত্যাগী শহিদদের স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইতিহাসের বর্ণাঢ্য পটভূমিতে লেখা এ দিবসটি স্মরণে ক্যাম্পাসজুড়ে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। 

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)-তে আয়োজিত হয়েছে নানা কর্মসূচি ও আবেগঘন স্মরণসভা। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া তরুণদের স্মরণে বুধবার (১৬ জুলাই) দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে পালিত হয়।

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রেরিত ‘জুলাই আন্দোলন’ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে প্রস্তুতকৃত প্রামাণ্যচিত্র শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রে প্রদর্শিত হয়, যা দর্শনার্থীদের আবেগে আপ্লুত করে।

বাদ যোহর গাকৃবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান দোয়া মাহফিলে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদরা শুধুই সময়ের সাক্ষী নন, তারা ন্যায়, সত্য এবং গণতন্ত্রের চিরন্তন বাতিঘর। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করা না গেলেও তাদের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমরা পারি একটি সুবিচারভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করতে।

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ