শেকৃবিতে প্রশাসনের উপস্থিতিতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের হাতাহাতি, বিস্ফোরণ

শেকৃবিতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের হাতাহাতি
শেকৃবিতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের হাতাহাতি  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের উপস্থিতিতে শাখা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে ছাত্রদলের আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ সময়ে একাধিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির সহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অন্য একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

হাতাহাতির সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে সামাদ ও ফরহাদ গ্রুপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

জানা গেছে, রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ একটি মিছিল বের করে, যা  বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে শেষ হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে বিকট শব্দে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

আরো পড়ুন: এবার যেমন হবে ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজন

অন্যদিকে সামাদ-ফরহাদ গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ অপর পক্ষের দিকে এগিয়ে গেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তবে সেখানে সভাপতি ও সেক্রেটারি গ্রুপ উত্তেজিত থাকলেও নিরব ছিলেন সামাদ ও ফরহাদ গ্রুপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী এবং সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ফের সামাদ-ফরহাদ গ্রুপ একটি মিছিল বের করে। এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা। ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী বলেন, সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানটি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি এক পক্ষ উপস্থিত আছে। আরেক পক্ষ উপস্থিত হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় কীসের শব্দ হয়েছে, সেটি জানার চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ