বাকৃবির হলে মুখরোচক বাহারি পিঠার স্বাদ নিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি তাপসী রাবেয়া হলে পিঠা উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বাকৃবি তাপসী রাবেয়া হলে পিঠা উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তাপসী রাবেয়া হলে অন্তঃহল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হলের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করা হয়। পুরস্কার বিতরণ শেষে হল প্রাঙ্গনে বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় বাহারি মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেন শিক্ষার্থী ও অতিথিরা।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, তাপসী রাবেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইসরাত জাহান শেলী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম। 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে খেলাধুলা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পুরোটাই শেখার জায়গা। এখান থেকেই নিজেকে গড়ে তোলার মতো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে হলে প্রবেশের সময়সীমাও এখন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে তারা লাইব্রেরিতে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে। তবে এ স্বাধীনতার কোনো অসৎ ব্যবহার করা যাবে না।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া হলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হলজীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। তাই এ সময়ে যতবেশি পারা যায় ভালো ভালো কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, যাতে পরবর্তীতে এগুলো স্মৃতি হিসেবে থেকে যায়। 

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উন্নয়ন এবং মানসিক উন্নয়নের জন্য যেকোনো ভালো পদক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিত পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও ব্যক্তিত্ব গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরো পড়ুন: জাবির দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসনপ্রতি লড়াই ২৪৫ শিক্ষার্থীর

পরবর্তীতে আন্তঃহল (ক্যারাম ও টেবিল টেনিস) ও অন্তঃহল (ক্যারাম, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, লুডু ও দাবা) খেলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি খেলার তিনজন করে মোট ২১ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

পুরস্কার বিতরণ শেষে শুরু হয় পিঠা উৎসব। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় ভাপা, চিতই, তেল পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ উৎসব পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায়। 

হল কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ উৎসবে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি দেশীয় ঐতিহ্যের স্বাদ নিয়েছেন বলে জানান তাপসী রাবেয়া হলের শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ