ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাকৃবি সড়কের গর্তে মোটরসাইকেল উল্টে ছাত্রের মৃত্যু

নিহত শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতি (ডানে)
নিহত শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতি (ডানে)  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সড়কের গর্তে মোটরসাইকেল উল্টে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোরশেদুল ইসলাম ইফতি নামের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়।

এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছাকাছি এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন মোরশেদুল। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহত ছাত্র ময়মনসিংহ নগরের কেওয়াটাখালি মধ্যপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়, বাবা মো. রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: বাকৃবির সমাবর্তনে শান্তা পেলেন দুই পদক

এদিকে, এ ঘটনার জেরে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ৮টি দাবি নিয়ে উপাচার্যের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ, ময়মনসিংহ মেডিকেলে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আলাদা সুবিধা প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধকরণ, অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা বাড়ানো ও হেলথকেয়ারের মান বৃদ্ধিকরণ, নির্মনাধীন অবকাঠামোতে সতর্কতা ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাকর্মী বৃদ্ধিকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয় সড়কগুলোর দ্রুত সংস্কার। 

নিহতের সহপাঠীরা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা মেরামতের স্থানে কোনো সতর্ক সংকেত, রোড ডিভাইডার বা অন্য কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা স্থাপন করা ছিলনা। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় বাকৃবি উপাচার্য স্বল্প সময়ের জন্য উপস্থিত ছিলেন। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়েছে।

পরবর্তীতে লাশ নিয়ে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাহায্য চাইলে তিনি বলেন, এর আগে আমিও একবার অনেক ঝামেলা করে লাশ নিয়ে এসেছি। তোমরা ওখানকার কিছু ছাত্রনেতাদের সাহায্য নিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন। 

আরও পড়ুন: বাকৃবির সমাবর্তনে একসঙ্গে স্বর্ণপদক পেলেন দুই ভাই

অন্দোলন ও স্মারকলিপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্দোলনের স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি। তাদের দাবি অনুযায়ী আমাদের যতটুকু করা সম্ভব আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


সর্বশেষ সংবাদ