বাকৃবির সমাবর্তনে শান্তা পেলেন দুই পদক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২১ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২১ PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পেয়েছেন বদরুন্নেছা শান্তা। একই সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ায় পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননাও। রোববার (১২ জানুয়ারি) তার হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন সমাবর্তনের অতিথিরা।
জানা যায়, ২০১৬-১৭ সেশনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন বদরুন্নেছা শান্তা। পড়ালেখায় মনোযোগি এই ছাত্রী কৃষি অনুষদে তার ব্যাচে সর্বোচ্চ সিজিপিএ পেয়ে স্নাতক পাশ করে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত হন।
অথচ ২০১৬-১৭ সেশনে যখন ভর্তি হয়েছিলেন তখন বাকৃবির পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়েছিল তার। এ নিয়ে নিজের সঙ্গে যদ্ধ করেছেন তিনি। এভাবে অল্পদিনেই বাকৃবির পরিবেশকে নিজের করে নিয়েছেন। একসঙ্গে স্বর্ণপদক ও বিশেষ সম্মাননা পেয়ে শান্তা ভুলে গেছেন তার কষ্টের দিনগুলোর কথা। এখন তার স্বপ্ন ছাত্রজীবন শেষ করে দেশের কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা।
স্বর্ণপদক প্রসঙ্গে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন শান্তা। তিনি বলেন, স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। কৃষি অনুষদে আমার ব্যাচে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের সুবাদেও পাচ্ছি পুরস্কার। অনেক দিন পর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্নাতক শেষ করেই সঙ্গে সঙ্গে সমাবর্তন পাচ্ছি বলে আমার আনন্দটা আরও বেশি।
বাকৃবি সমন্ধে শান্তা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস খুব সুন্দর হলেও শুরুতে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আমার খুব কষ্ট হয়েছে। নানা প্রতিকূল পরিবেশে পড়ালেখা চালিয়ে গেছি। প্রচণ্ড শীতেও অনেক সময় বাইরে বসে পড়তে হয়েছে। তবু ভালো ফল ধরে রাখতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলাম না এক দিনও। এখন লিখতে বসে পরীক্ষার আগের নির্ঘুম রাতগুলোর কথাও মনে পড়ছে।
শান্তা বলেন, আজকের এ অবস্থানের পেছনে আমার মা-বাবার অবদান অপরিসীম। শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। তাঁরা সাহায্য না করলে আমি প্রতিকূলতা পেরোতে পারতাম না। তাঁরা ছিলেন বলেই ক্যাম্পাসজীবন উপভোগ করতে পেরেছি। অনেক স্মৃতি ছড়িয়ে আছে এই প্রাণের প্রাঙ্গণে। এখন কীটতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর করছি। ভবিষ্যতে নতুন নতুন গবেষণা করে দেশের কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, বাকৃবির এবারের সমাববর্তনে ৬ হাজার ৫২২ জন গ্রাজুয়েটের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৪ জন পেয়েছেন স্বর্ণপদক। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ায় আরও ৪৯ জন পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা।