জাবি

ভর্তি পরীক্ষায় কাজ না করেও সম্মানি পেলেন ১৬০ শিক্ষক-কর্মকর্তা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন না করেও সম্মানি পেয়েছেন। ১৬০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে দেয়া এ সম্মানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৭ টাকা। সম্প্রতি শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের দেওয়া প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন না করা সত্ত্বেও শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সম্মানি প্রদান করায় ৪,৩৪,৬০৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার নথি, ক্যাশবুক ও ভাউচার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শিক্ষক ও কর্মকর্তা / কর্মচারীগণ ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানি বিল পেয়ে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪০% হারে অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দিয়ে বাকি ৬০% অর্থ পরীক্ষা গ্রহণ করে তা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সম্মানি বা পারিতোষিক পেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন: মেডিকেল-ডেন্টালের ক্লাস শুরু ১ আগস্ট

কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থ বছরের অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার অডিট অধিদপ্তরের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়িত্বপালন না করেও ০২ জন শিক্ষক ও ১৫৮ জন কর্মকর্তাকে সম্মানি দেয়া হয়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৭ টাকা।
 
প্রতিবেদনে নিরীক্ষিত প্রতিষ্ঠানের (জাবি) জবাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, জাবির ১ম বর্ষ ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায়। এ কাজে শিক্ষক ছাড়াও নিরাপত্তা, বৈদ্যুতিক, বিএনসিসি, স্কাউট ইত্যাদি শাখায় নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিরলসভাবে পরিশ্রম করে থাকেন বিধায় তাদের ১৬০ জনকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মানি প্রদান করা হয়েছে।
 
তবে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের সুপারিশে বলা হয়েছে, জবাব আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য সহায়ক নয়। কারণ ভর্তি পরীক্ষার সাথে জড়িত না থাকলে তারা সম্মানি প্রাপ্য নয়। এক্ষেত্রে অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রাপ্যতা ছাড়াই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সম্মানি প্রদান করা হয়েছে বিধায় আপত্তিকৃত অর্থ আদায় করা প্রয়োজন। নিরীক্ষার সুপারিশে আপত্তিকৃত অর্থ আদায় করে সংস্থার তহবিলে জমার প্রমাণকসহ জবাব নিরীক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা আবশ্যক।


সর্বশেষ সংবাদ