২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভা ২৬ অক্টোবর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০২ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৮ PM
আগামী বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে সভা আহবান করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারিসহ নানা সমস্যার কারণে ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি (এনটিএ) গঠন আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় আবারও এককভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে চায়। এ বিষয়ে আলোচনা করতেই এ সভা ডাকা হয়েছে।
সভার বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৬ অক্টোবর ইউজিসিতে সভা ডাকা হয়েছে।
এনটিএ গঠনের আগ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় আগের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায়। সে বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৬ অক্টোবর একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে—সচিব, ইউজিসি
ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনটিএ গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন তৈরি করা হচ্ছে। এই আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপন এবং পরবর্তীতে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়া অনেক সময় সাপেক্ষ। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন। সেজন্য গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব পদ্ধতিতেই পরীক্ষা আয়োজন করতে সভা ডেকেছে।
এনটিএ গঠন সময়সাপেক্ষ জানিয়ে ইউজিসি সদস্য ড. ফেরদৌস জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এনটিএ গঠন করতে হলে আইন তৈরি করতে হবে। আমরা খসড়া আইন তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এনটিএ গঠনের আগ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় আগের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায়। সে বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৬ অক্টোবর একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এদিকে আসন ফাঁকা রেখেই গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, বিশেষ ধাপে ভর্তি শেষে ৮৩০টির মতো আসন ফাঁকা ছিল। এর মধ্যে শেষ ধাপে ৬০০ জনের মতো শিক্ষার্থী প্রাথমিক ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। গত সোমবার এবং গতকাল মঙ্গলবার তারা চূড়ান্ত ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ভর্তি হলেও অনেকেই চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। প্রাথমিক ভর্তির তথ্য হিসেব করলেও ২০০ এর বেশি আসন শূন্যই থাকছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছি। এরপর আর কোনো ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না।
আসন ফাঁকা থাকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অল্প কিছু আসন ফাঁকা থাকতে পারে। তবে গত দুইবারের চেয়ে এবার সবচেয়ে কম আসন ফাঁকা রয়েছে। এটি আমাদের জন্য খুব পজিটিভ বিষয়।
গত ২২ আগস্ট গুচ্ছের শেষ ধাপের ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার চার ধাপে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তবে অধিক সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকায় ফের ভর্তির দিয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
এর আগে ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।