গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮৪, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫১ হাজার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ AM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৯ PM
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৪ জন ফিলিস্তিনি। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৮ জন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে নিহত ও আহতদের চূড়ান্ত হিসাব নির্ধারণ করা যায়নি।’
এছাড়াও গাজার বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার এই হামলায় বহু আবাসিক ভবন, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হামলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বর্তমান পর্যায়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৪০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।