ক্ষেপণাস্ত্রের বাটনে হাত দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ AM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:০৬ PM
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী হামলার পর ফের উত্তেজনার শিখরে পৌঁছেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। সীমান্ত জুড়ে টান টান সামরিক প্রস্তুতি, কূটনৈতিক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য—সব মিলিয়ে উপমহাদেশে যেন যুদ্ধের সাজসাজ রব। এর মধ্যেই করাচি উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে পাকিস্তান। বলা চলে, ক্ষেপণাস্ত্রের বাটনে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ইসলামাবাদ!
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তান করাচি উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য নোটিশ জারি করেছে। যদিও এটি নিয়মিত সামরিক মহড়ার অংশ হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে পাকিস্তান কোন আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
কাশ্মীরে হামলার পর উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকগুলোতে কড়া ভাষায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে দুই পক্ষই। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ভারতের দাবি—পাকিস্তান মদদপুষ্ট জঙ্গিরাই এই হামলার পেছনে রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিবেশকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এইদিকে দুই দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী—ভারত ও পাকিস্তান—আবারও মুখোমুখি যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রান্তে দাঁড়িয়ে। সীমান্তজুড়ে টান টান উত্তেজনা, তিন বাহিনীকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী মোতায়েন, আরব সাগরে রণতরীর গতি বৃদ্ধি, আকাশে যুদ্ধবিমান ও সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মতো পদক্ষেপে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা পৌঁছেছে চরমে।
পরমাণু অস্ত্রধারী এই দুই রাষ্ট্র এখন কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক ময়দানেও মুখোমুখি। উত্তেজনা প্রশমনে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যস্ত কূটনৈতিক যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে উভয়পক্ষই।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়েও এত ব্যাপক প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নড়াচড়া দেখা যায়নি। ফলে পরিস্থিতিকে এখনই ‘সাজসাজ যুদ্ধের প্রস্তুতি’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক।