ঢাবির ক্যান্টিনে বেহেশতি ডাল, উট পাখির ডিম, আসল রহস্য কী?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৪ PM , আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিনে পাওয়া যাচ্ছে `ইরানি পোলাও,' `কাশ্মীরি খিচুড়ি,' `মেক্সিকান সেক্সি মুরগী,` `উট পাখির ডিম,' `রাজস্থানি খাসি,' `বেহেশতি ডাল'সহ নানা ধরনের খাবার। চাঞ্চল্যকর ও কিছুটা অদ্ভুত এমনই খাবারের মেন্যুর একটি ছবি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
কেউ কেউ বিষয়টিকে নিছক মজার ছলে শেয়ার করছেন, কেউবা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনগুলোর অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবাদ হিসেবে শেয়ার করছেন। অনেকে আবার ছবিতে দেখা খাবার খেতে ভিড় করছেন বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিনে। বিষয়টি খুব কৌতুহলি হলেও বাস্তবে এমন কোনো খাবারের মেন্যুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি ওই হল ক্যান্টিনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ সাধারণ খাবারের নামের সাথে কিছু বিশেষণ জুড়ে দিয়ে উচ্চ মূল্যে খাবারগুলো বিক্রি করেন। তারই নীরব প্রতিবাদ হিসেবে ফটোশপ করে অদ্ভুত এসব খাবারের নাম বসিয়ে দেন রহমত উল্যাহ রবিন নামে এক শিক্ষার্থী। পরে ছবিটি তার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করলে মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রহমত উল্যাহ রবিন গণমাধ্যমকে বলেন, মুরগীর সাথে ঝাল ফ্রাই, কালা ভুনা ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়। ক্যাম্পাসে প্রথম এসে ৩০ টাকায় যে মুরগী খেয়েছি; এসব বিশেষণ দিয়ে তা এখন ৫৫-৬০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা; এত দাম দিয়ে এসব খাবার খেতে খুব কষ্ট হয়। দামের তুলনায় খাবারের মানও নিম্ন মানের। যা খেয়ে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন। তাই ভাবছিলাম এটা নিয়ে কী করা যায়। আমি যেহেতু ফটোশপের কাজ জানি, তাই ক্যান্টিন থেকে চার্টের ছবি তুলে পরে সেটা এডিট করে ফেসবুকে আপলোড করি। পরে ছবিটা ছড়িয়ে পড়ে। এটাকে আমি একটা প্রতীকী প্রতিবাদ বলতে পারি।