প্রোগ্রামে না যাওয়ায় ১৫ ছাত্রকে হল থেকে বের করে দিল ছাত্রলীগ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ০৫:৪৯ PM , আপডেট: ১৯ মে ২০২২, ০৬:০৯ PM
ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১৫ জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে অভিযোগ উঠেছে ওই হল শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার (১৮ মে) রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ঘটনার পরেরদিন (১৯ মে) তাদেরকে হলে ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগের দুই কর্মী হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আলী আজম ও বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফ রানা সজল। তারা দুজনেই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের অনুসারী। মাহবুবুর রহমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।
ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, গত মঙ্গলবার মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। পরীক্ষা থাকার কারণে সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গ্রুপের অনুসারী তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। যার কারণে গতকাল বুধবার (১৮ মে) রাতে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে বের করে দেয় চতুর্থ বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীদের একটি অংশ। এর নেতৃত্বে ছিলেন আলী আজম ও আরিফ রানা সজল।
তারা আরো জানান, হল থেকে বের করে দিলে তারা হল শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কাছে যায়। মাহবুবের কাছে তারা বের করে দেয়ার বিষয়ে অবহিত করে। তারা পরীক্ষার কারণে প্রোগ্রামে যেতে পারেনি বলে তাকে জানায়। কিন্তু তিনি কোন পাত্তাই দেননি।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র প্রধানের দায়িত্বে শাস্তি হওয়া ঢাবির সেই অধ্যাপক
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘আমাদের বের করে দেয়ার পর সাধারণ সম্পাদকের কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি। তিনি আমাদের কোন পাত্তাই দিলো না। তাহলে আমরা যাব কোথায়? তিনি একজন ছাত্র প্রতিনিধি হয়ে যদি এরকম আচরণ করেন তাহলে কি আর করার থাকে!’’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলী আজম ও সজল বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা বলেন, আমরা কাউকে হল থেকে বের করিনি। এটা মিথ্যা কথা। আপনারা আসেন তদন্ত করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এরকম কোন ঘটনা আমার হলে ঘটেনি। আর কেউ আমার কাছে অভিযোগও করেনি।