চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক

শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব নিরসনে চবিতে দফায় দফায় বৈঠক
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব নিরসনে চবিতে দফায় দফায় বৈঠক  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ছাত্র প্রতিনিধি, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, স্থানীয় ও সিএনজি চালকদের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনায় বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হাটহাজারী থানায় স্থানীয়দের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে প্রশাসন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে স্থানীয়রা সম্মত হন। বৈঠকে হাটহাজারী থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন, চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা, ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া দুপুর থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত চবির চাকসু ভবনে শুরু হয় এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় বৈঠক। তবে এ বৈঠকে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আরও পড়ুন: চবিতে বেড়েছে স্থানীয়দের ক্ষোভ, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিনের চলমান বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনায় বসেছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীকে মারধরকারী জাবেদকে আমরা শনাক্ত করে থানায় নিয়ে আসি। সে মুচলেকা দিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না। স্থানীয় এবং সিএনজি চালকদের সাবধান করেছি। তারাও আমাদের কথা দিয়েছেন সামনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

আলোচনা শেষে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের কাছে মুচলেকা দেন চবি শিক্ষার্থীকে মারধরকারী স্থানীয় দোকানদার মো. জাবেদ। এসময় ভুক্তভোগী সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হানের কাছে ক্ষমা চান তিনি। পরে তাকে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে চবি শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হানকে কথা কাটাকাটির জেরে মারধর করেন স্থানীয় দোকানদার মো. জাবেদ। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর জের ধরে শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় বিচ্ছিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে মারধর করে স্থানীয় ও সিএনজি চালকরা।


সর্বশেষ সংবাদ