পদোন্নতির জন্য রাবি অধ্যাপক তাহেরকে হত্যা করেন আরেক শিক্ষক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

পদোন্নতির জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদকে হত্যা করেন তার এক সময়কার ছাত্র ও পরবর্তীতে সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এই হত্যাকাণ্ডকে দেশের ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, আজকের রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলাটি দেশের ইতিহাসে একটি জঘন্যতম হত্যা মামলা। অধ্যাপক তাহের বলেছিলেন নিয়ম অনুসারে মহিউদ্দিনের পদোন্নতি হবে না। একজন শিক্ষক তার ছাত্র, পরবর্তীতে শিক্ষক হয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র তার নিজের একটা লাভের জন্য, অর্থাৎ প্রমোশনের জন্য একজন মানুষকে এভাবে হত্যা করা কোনোভাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা ঘৃণ্য কাজ।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজকের বিচারের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলো। অন্যদের কাছে বার্তা যাবে যে এ ধরণের কাজ করলে আদালতের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।

আরও পড়ুন- রাবি শিক্ষক অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি বহাল 

এর আগে, এই হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। ফাঁসির আসামিরা হলেন- ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যাবজ্জীবনের আসামিরা হলেন- নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক এস তাহেরের সহকর্মীরা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence