নারীরা তর্কের কারণে স্বামীর মারধরের শিকার হন: গবেষণা

প্রতীকী
প্রতীকী  © ছবি

স্ত্রীকে মারধর করা বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি সমস্যা। এটি ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতার একটি স্বাভাবিক রূপ। দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতার ওপর করা এ গবেষণায় স্ত্রীকে মারধরের আরও কয়েকটি বিশেষ কারণ উঠে আসে। স্বামীর সঙ্গে তর্ক করার কারণে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী স্বামীর মারধরের শিকার হন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। 

এই গবেষণায় দেশের ৮টি বিভাগ থেকে ১৩ হাজার ৩৩ জন শহুরে এবং ৫১ হাজার গ্রাম্য নারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরাও এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। যাদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ৩৯ বছর।

গবেষণা নিবন্ধটি গত ৪ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের ‘বায়োমেড সেন্ট্রাল সাইক্যাট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিসেফের অর্থায়নে দেশব্যাপী মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯ ডাটাবেজের তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেউ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করলে বুঝবেন যেভাবে

‘প্রিভ্যালেন্স অ্যান্ড ডিটারমিন্যান্টস অব ওয়াইফ-বিটিং ইন বাংলাদেশ: এভিডেন্স ফ্রম এ ন্যাশনওয়াইড সার্ভে’ শীর্ষক গবেষণায় প্রধান ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

অন্যরা হলেন-সিলেটের আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের ফারুক আব্দুল্লাহ, অস্ট্রেলিয়ার চালর্স স্ট্রাট বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও প্রকৌশল বিভাগের স্কুল অব কম্পিউটিংয়ের আজিজুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনের কলেজ ও নার্সিং, মিডওয়াইফারি অ্যান্ড হেল্থকেয়ারের হাফিজ টিএ খান।

আরও পড়ুন: হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ছাত্রীদের আন্দোলন স্থগিত

গবেষণায় উঠে আসে, শহুরে ১৭ শতাংশ ও গ্রাম্য ২২ শতাংশ নারী স্বামীর সঙ্গে তর্ক করার কারণে স্বামীর হাতে মারধরের শিকার হন। এছাড়া সন্তানের প্রতি অবহেলার কারণে শহুরে ১৩ শতাংশ এবং গ্রাম্য ১৬ শতাংশ, যৌনমিলনে অসম্মতির কারণে শহুরে ৮ শতাংশ ও গ্রাম্য ১০ শতাংশ, স্বামীকে না বলে বাইরে যাওয়ার কারণে শহুরে ১০ শতাংশ ও গ্রাম্য ১৪ শতাংশ নারী মারধরের শিকার হন। তবে গ্রাম্য ৬.৮ শতাংশ ও শহুরে ৫.১ শতাংশ নারী বিশ্বাস করেন, রান্নার সময় খাবার পুড়ে গেলে স্বামীর মারধর করার অধিকার আছে।

আরও পড়ুন: হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ছাত্রীদের আন্দোলন স্থগিত

গবেষণা বলছে, সিলেট বিভাগের শহুরে নারীদের চেয়ে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের শহুরের নারীরা স্বামীর মারধরকে অনেকটা বৈধ মনে করে। তবে রংপুর ও খুলনা বিভাগের গ্রাম্য নারীরা স্বামীর মারধরকে বৈধ মনে করলেও সিলেটের গ্রাম্য নারীরা ঠিক উল্টো। বরিশাল বিভাগের নারীরা তুলনামূলক কম মাত্রায় স্বামীর মারধরকে মেনে নেন।

এ বিষয়ে নিবন্ধটির প্রধান গবেষক সহযোগী অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, দাম্পত্যজীবনে সঙ্গীদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা কমে যাওয়ায় এ ঘটনাগুলো বেশী ঘটছে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াই এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে বলে মনে করেন এই গবেষক।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence