হলে গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সময় দুই গ্রুপকে হাতে স্ট্যাম্প, রডসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৮টায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ৩১ নাম্বার রুমে আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান শাহিদ তন্ময় তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গাঁজা সেবন শুরু করলে একই রুমে থাকা লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কিবরিয়া হাসান নিষেধ করেন। এরপর একই রুমে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম নওশাদ আবারও নিষেধ করলে তন্ময় তার উপর চড়াও হয়। 

এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিদ চন্দ্র দাসের অনুসারীরা রড ও স্ট্যাম্প নিয়ে ৩১ নম্বর রুমের সামনে আসেন। অন্যদিকে, খবর পেয়ে তন্ময়ের সিনিয়র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের অনুসারীরাও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে জড়ো হন। এরপর এক পর্যায়ে হলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুনঃ বেশি আসন কমছে কলা অনুষদে, বাড়ছে বিজ্ঞানে

হল সূত্রে জানা যায়, হলের ৩১,৭৯,১৭৭ ও ১৪৯ নম্বর রুমে নিয়মিত মদ ও গাঁজার আসর বসে। আর এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার বিঘ্ন ঘটলেও হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী মোস্তফা সরকার মিসাত বলেন, "এখানে মূলত বন্ধুদের মধ্যেই ছোট্ট একটি বিষয় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে, আর কিছুনা। সাধারণত বন্ধুরা একসাথে থাকলে হঠাৎ দুই-এক কথা হতেই পারে। কারো সাথে কারো লাগলে উভয় পক্ষের শুভাকাঙ্ক্ষীরাই এগিয়ে আসে। এখানেও বন্ধুদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোক জড়ো হয় এবং একটু চিল্লাচিল্লি হয়। কিন্তু কারো গায়ে কেউ কোন আঘাত করেনি এবং কোন সমস্যা হয়নি। কোন প্রকার ঝামেলা হওয়ার আগেই আমরা সিনিয়ররা এসে তা মিটিয়ে দিয়েছি।"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী আতিকুর রহমান আতিক বলেন, "একটা রুমে ইয়ারমেট বন্ধুদের মাঝে একটু কথা কাটাকাটি হয়ে একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আর যখন দুই পক্ষের কোন ঝামেলা হয় তখন একটু উচ্চবাক্য হয়, চিৎকার-চেচামেচি হয়, এটাই স্বাভাবিক। এখানেও এর বেশি আর কিছু হয়নি। তবে এ ঘটনা নিয়ে অনেকেই অনেক কথাই বলছে, এগুলো সত্যি না। কারণ, হলে যদি দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার মত কোন ঘটনা ঘটতো তাহলে সিসিটিভি বা যেকোনো ধরনের ভিডিও ফুটেজ থাকতো। সুতরাং এটা মিথ্যা।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান উক্ত ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, "সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে আমি জেনেছি। আগামী রোববারে হাউজ টিউটরদের সাথে মিটিং করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশবিছু ব্যাপারে হল প্রশাসন একটি ব্যবস্থাপনায় যাবে।" 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence